রহস‍্যজন ভাবে মৃত‍্যু হল মল্লরাজ পরিবার সদস‍্যের , চাঞ্চল‍্য বিষ্ণুপুরে

1st August 2020 1:23 pm বাঁকুড়া
রহস‍্যজন ভাবে মৃত‍্যু হল মল্লরাজ পরিবার সদস‍্যের , চাঞ্চল‍্য বিষ্ণুপুরে


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : রহস্যজনকভাবে মৃত্যু শেষ মল্ল রাজার ছেলে সলিল সিংহ ঠাকুর এর । প্রাথমিক অনুমান গুলি করে আত্মহত্যা। তদন্তে বিষ্ণুপুর থানার পুলিশ। শনিবার সকালেই গুলির শব্দে কেঁপে উঠে বিষ্ণুপুর রাজ দরবার। গুলির শব্দ পেয়ে পরিবার সদস্য এবং এলাকার মানুষ দেখেন নিজের বাড়ির মধ্যে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে মল্ল রাজ পরিবারের সদস্য সলিল সিংহ ঠাকুরের দেহ। মৃত দেহের পাশেই পড়ে ছিল বাড়িতে থাকা এক নলা বন্ধুক। এবং কর্তুজের খোল। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে বিষ্ণুপুর থানার পুলিশ। উদ্ধার করা হয় মৃতদেহ এবং এক নলা বন্দুক ও কিছু কার্তুজ। মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতালে। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে আজ সকাল আট টা নাগাদ রাজ দরবারে নিজের বাড়ির মধ্যে বাড়িতে থাকা এক নলা বন্দুক দিয়ে আত্মহত্যা করেন বিষ্ণুপুর মল্ল রাজ পরিবারের সদস্য সলিল সিংহ ঠাকুর। গলায় এবং মাথায় গভীর ক্ষত। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান গলার নিচের অংশ বন্দকের নল লাগিয়ে গুলি চালায় এবং মাথা ঘিলু ভেদ করে গুলি বেরিয়ে যায়। রক্তে ভেসে যায় বাড়ির মেঝে। গুলির শব্দ পেয়ে পরিবারের সদস্য এবং প্রতিবেশিরা ছুটে এসে দেখেন সলিল বাবুর দেহ। খবর পেয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তদন্ত শুরু করেছে বিষ্ণুপুর থানার পুলিশ।
রাজত্ব নেই। তবু মল্ল রাজত্বের রাজা হিসাবে সকলেই তাঁকে চিনত। মল্ল পরিবারের কূলদেবী মৃন্ময়ীর পুজো বা রাজ পরিবারের অন্যান্য আচার উৎসবেও তাঁকে দেখা যেত সক্রিয় ভূমিকায়। আজ সাত সকালে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরে নিজের বাড়ি থেকে উদ্ধার হল তাঁর গুলিবিদ্ধ মৃতদেহ। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে প্রাচীন মল্লগড় বিষ্ণুপুরে। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান বেশ কিছুদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন সলিল সিংহ ঠাকুর। ভূগছিলেন মানসিক অবসাদেও। সেই কারনে নিজেই গুলি চালিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন রাজ পরিবারের ওই সদস্য। মৃত্যুর কারণ জানতে পরিবারের সদস্যের জিজ্ঞাসাবাদ করবে পুলিশ। বিষয়টি নিয়ে কোনোরকম মুখ খুলতে চায়নি রাজ পরিবারের অন্যান্যরা।

 





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।